নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশনের বন্দরে ২৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর মামলায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামি করে মোট ৫৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে বন্দর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) মো: সোহেল নামের এক ছাত্রলীগ নেতা বন্দর থানায় মামলাটি করেন।
জানা যায়, এ ঘটনায় ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এতে মুকুল ছাড়াও বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মাদ পনেছ, মুকুলের ভাই মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান দুলালকে আসামি করা হয়েছে।
মামলায় আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরের পাশাপাশি সোহেলকে মারধর, মোবাইল লুট ও ৫০ হাজার টাকা লুটে নেয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার ২ নম্বর আসামি নূর মোহাম্মাদ পনেছ, ৪ নম্বর আসামি সজিব হোসেন, ৫ নম্বর আসামি আজিজুল হক রাজিব ও ৬ নম্বর আসামি হুমায়ূন কবির বুলবুলকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, থানায় এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে বন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান মুকুল বলেন, ‘আমাদের কি সাহস আছে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করব? এটা কেউ বিশ্বাস করবে? ওরা নিজেরাই ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দোষ দেয়। আমাদের নামে মামলা দেয়ার জন্যই এ কাজ করে। সারাদেশেই ভাঙচুর জ্বালাও পোড়াও করে বিএনপির নামে দোষ দেয়া হচ্ছে। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় আসামি করা হয়েছে আমাদের।’